প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলির স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (আইএমডি) উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।
এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপদানের জন্য যারা নিয়োজিত, তারা ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না। এটার কারণ শুধু টেনশন নয়,বরং কর্ম ও আত্মনির্ভরতার অফুরন্ত শক্তি ও প্রয়াস।
এই না ঘুমানোর মধ্যে যেমন যন্ত্রণা আছে, তেমনি আনন্দও আছে। আনন্দটা প্রকাশ পায় তখনই, যখন দিনে দিনে সাফল্যগুলো একত্রিত হয়ে আত্মবিশ্বাসের ফুল ফোটায়-প্রত্যাশার পাঁপড়িগুলো চারদিকে মেলে ধরে।
তাই এ কর্মযজ্ঞের শ্রমিক হিসেবে অংশীদার হতে পেরে নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করি। আশা করা হচ্ছে বহুল কাংঙ্খিত অনলাইন শিক্ষক বদলি ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সকলের ভোগান্তি লাঘব হবে এবং সেবার প্রদানের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে, নিশ্চিত হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
কিন্তু কীভাবে সেটি বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়টি নিয়ে আজকের প্রসঙ্গ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ডিএসআই এর কারিগরি টিম বেশ কয়েকটি বৈঠকের মাধ্যমে অত্যন্ত সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে শিক্ষক বদলির বিদ্যমান পদ্ধতির ধাপসমূহ অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে সেবা প্রদানে বাস্তব সমস্যা, প্রতিবন্ধকতা, পশ্চাৎগতি এবং পদ্ধতিগত শূণ্যতা নির্ণয় করেছেন।
শিক্ষকগণ এখন তাঁদের শিক্ষক পিন (ই-প্রাইমারি সিস্টেম) ব্যবহার করে OTP Authentication এর মাধ্যমে লগইন করে নিজস্ব UI (User Interface) এ প্রবেশ করে বদলীর আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের তথ্যাদি পূর্ব থেকেই ডাটাবেইজে সংরক্ষণ থাকায় শুধুমাত্র বদলির ক্ষেত্র (অন্ত:উপজেলা, আন্ত:উপজেলা, আন্ত:জেলা, আন্ত:বিভাগ এবং অন্ত:সিটি কর্পোরেশন) এবং বদলির কারণ সিলেক্ট করে বদলির আবেদন করতে পারবেন।
মাসিক রিটার্ণ, চাকুরি বহির ফটোকপি ইত্যাদি সংযুক্তির প্রয়োজন হবে না। তবে ক্ষেত্রমতে স্বামী/স্ত্রীর কর্মস্থলের বা স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র, বদলির কারণ কিংবা প্রেক্ষাপটের আলোকে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হতে পারে।
বিদ্যমান বদলির নীতিমালার শর্তাবলীর আলোকে backend এর লজিকগুলো এমনভাবে সেট করা হয়েছে যেন অযাচিত কিংবা বদলির শর্তপূরণ করে না এমন কেউ আবেদন করতে না পারে।
শুন্য পদের সকল তথ্য ডাটাবেইজে থাকায় শিক্ষকগণ আবেদনের সময়ই বিদ্যমান সকল শুন্যপদ দেখতে পাবেন এবং এক বা একাধিক বিদ্যালয় বাছাই করে আবেদন করতে পারবেন।
সঠিকভাবে আবেদন সাবমিট করলে আবেদনকারী আবেদনের একটি পিডিএফ কপি এবং Application Tracking No সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড একটি রিসিপ্ট পাবেন এবং তাঁর মোবাইলে নোটিফিকেশন প্রেরণ করা হবে।
তাছাড়া শিক্ষক পিন ব্যবহার করে লগইন করে যেকোন সময় তাঁর ড্যাশবোর্ড থেকে আবেদনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন।
সফটওয়্যারে প্রতিটি ধাপে সময় নির্ধারণ করা থাকবে ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনটি অগ্রায়ণ হতে থাকবে এবং কোন ধাপে অতিরিক্ত সময় ক্ষেপনের কোন সুযোগ থাকবে না।
আবেদনকারীর বদলির প্রেক্ষাপটের আলোকে সিস্টেম হতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কোর নির্ধারিত হবে ফলে আবেদনকারী একাধিক হলে অগ্রাধিকার তালিকাও সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে।
ফলে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে অন্যদিকে অযাচিত তদবির ও চাপ হ্রাস পাবে। তারপরও এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে, কোন ধরণের পাইলটিং ছাড়াই পোর্টালটি উন্মুক্ত করা হচ্ছে তাই প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সেক্ষেত্রে আপনারা সবাই আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ শেয়ার করবেন। মনে রাখবেন, আপনার আমার সকলের প্রচেষ্টায়ই কাঙ্খিত রূপ পাবে অনলাইন শিক্ষক বদলি পোর্টালটি। ধন্যবাদ সবাইকে।
কার্টেসী-শরিফুল ইসলাম,উপজেলা শিক্ষা অফিসার
আরো পড়ুন
ডিপিএড ২০২০ চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণের আদেশ,যেভাবে পূরণ করবেন
শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে একজন শিক্ষককে মনোনয়ন দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন
কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী খুঁজে পাচ্ছে না
প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব শিক্ষকদের ১ম শ্রেণির মর্যাদা দেয়া হোক
গবেষকদের আশঙ্কা,নতুন করোনা শিশুদের মাঝে দ্রুত ছড়াতে পারে