শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। এমন বাধ্যবাধকতা রেখে শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের বাইরে শিক্ষকদের কোচিং-প্রাইভেটের সুযোগ রাখা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা খসড়া অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদানের জন্য কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে না। তবে কোচিং সেন্টারে কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে পারবেন না।
এমনকি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেটও পড়াতে পারবেন না। কোচিং চালাতে গেলে নিবন্ধন নিতে হবে। তবে সরকার নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে ও অভিভাবকদের সম্মতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রমের বাইরের সময় অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যাবে। অবশ্য এ বিষয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশ রয়েছে।
২০১১ সাল থেকে শিক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনা চলছে। অভিযোগ আছে, নোট-গাইড বা সহায়ক বই এবং কোচিং-প্রাইভেটের মতো কিছু বিষয় রাখা না-রাখা নিয়েই আইনের খসড়াটি এত দীর্ঘ বছর ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে।
আরো পড়ুন
আগামী রোববার জানানো হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর তারিখ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সাত কলেজে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় আবারও বাড়ানো হয়েছে
অবশেষে শিক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়ন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় নোট-গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কেউ এই বিধান লঙ্ঘন করলে জেল-জরিমানা ভোগ করতে হবে।
১৯৮০ সালে করা একটি আইনেও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নোট-গাইড নিষিদ্ধই আছে। এ জন্য এখন নোট-গাইডের পরিবর্তে অনুশীলন বই বা সহায়ক পাঠ্যবই চলছে। প্রস্তাবিত আইনেও সরকারের অনুমোদন নিয়ে সহায়ক বই বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
তবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহায়ক বই কেনা বা পাঠে বাধ্য করতে পারবেন না। এসব বই কিনতে বা পাঠে বাধ্য বা উৎসাহ দিলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।
এগুলো ফালতু নিয়ম। শিক্ষকদের বেতন কাঠামো তৈরি করে এ ধরনের নিয়ম করেন । ১২৫০০ থেকে ৩০০০০ করেন । তাহলে শিক্ষক গণ প্রাইভেট পড়াবেন না।
সরকারি কলেজ হলে ঠিক আছে, কিন্তু ব্যাক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের যে বেতন দেয় তা দিয়ে বাজার খরছ হয়না। প্রাইভেট পড়ানো তাই প্রয়োজন। আর সব শিক্ষার্থীর মেধা একরকম নয়। সব প্রতিষ্ঠান সরকারি করে দেন। কোন ব্যাক্তিগত কলেজ অনুমোদন বন্ধ করে দেন।
শিক্ষা ব্যবস্থায় স্থিরতা থাকতে হবে। বাইরের উন্নত দেশের শিক্ষার্থীরা ৪.৫ বছরে যেটা জানে সেটা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জানতে লাগে ১১ বছর। এর কারণ হলো তারা দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের সর্বোচ্চ যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ বেতন দিয়ে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আমাদের দেশে হয় তার উল্টো। মনে রাখতে হবে শিক্ষক যদি সর্বোচ্চ ভালটা দেয়ার সামর্থ্য না রাখেন তাহলে জাতি দূর্বল হয়ে যাবে।
যে ধূমপান মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই ধূমপান বন্ধ না করে, সরকার শিক্ষা নিয়ে ফিতাখেলা শুরু করেছে।
যে দেশের রাস্ট্রই শিক্ষকদের মর্যাদাদেয় না।।সে দেশের শিক্ষকে পিটিয়ে মারা আর জুতা গলায় ঝুলিয়ে রাখা দোষের কিছু নয়!!
কতিপয় জ্ঞানহীন প্রাণী মন্তব্য করছে যে এই বেতনে শিক্ষকতা না করলে অন্য পেশা বেছে নিতে।
তখন শিক্ষকতা কারা করবে? তাদের মতো অযোগ্য জ্ঞানহীন প্রাণীরাই তো করবে যারা এখন প্রতিযোগিতায় টিকছে না, তাই না!!
তখন আশাকরি দেশের সন্তানেরাও তাদের মতোই মূর্খ হয়েই বড় হবে।
যাইহোক, সমস্ত জ্ঞানহীন প্রাণীদেরকে বলছি, সাকিব যদি এখন অবসর নেয় ক্রিকেট থেকে কোনো কারণে, তখন তার জায়গায় কেউ না কেউ তো যাবেই। কিন্তু সাকিবের খেলা তো সাকিব ছাড়া কেউ খেলতে পারবে বলে বাংলাদেশের অবস্থা সেটা বলে না।
সুতরাং এই সমস্ত জ্ঞানহীন কথা বার্তা থেকে বিবেকবান ব্যক্তিরা দূরে থাকবেন আশা করি।