ডিপিএড অর্থাৎ ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স।সকল প্রাথমিক শিক্ষককে এই কোর্সটি বাধ্যতামূলকভাবে সম্পন্ন করতে হয়।
প্রাথমিক শিক্ষকদের দক্ষ করে তোলার জন্য সরকার উন্নত দেশের প্রশিক্ষণের আদলে আমাদের দেশেও এই কোর্সটি চালু করে।আজকে আমরা জানবো ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন কোর্সের খুঁটিনাটি বিষয়।
ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন(ডিপিএড) প্রশিক্ষণ কোর্স –
২০১২ সাল থেকে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন কোর্স চালু হয় ।
ডিপিএড কোর্সে ভর্তির জন্য সর্বনিম্ন যোগ্যতা হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পাশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই ই আর ডিপার্টমেন্ট ডিপিএড সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন কোর্সের মেয়াদ হচ্ছে ১৮ মাস ।
ডিপিএড কোর্সটির টোটাল ক্রেডিট ৯৬ ঘন্টা।
পিটিআইতে ক্রেডিট ৪৭.৫ ঘন্টা।
প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়ে ক্রেডিট ৪৮.৫ ঘন্টা।
শেষ ৬ মাসের মধ্যে ১৬ সপ্তাহ নিজ বিদ্যালয়ে পাঠদান অনুশীলন ও ২ সপ্তাহ পিটিআইতে অবস্থান।
ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন কোর্সটি সম্পুর্নরুপে আবাসিক।
কোর্সটিতে আইসিটির উপর খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ।তাই প্রতিটি পিটিআইতে একটি করে আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।
প্রতিটি পিটিআইতে একটি করে সমৃদ্ধ লাইব্রেরী রয়েছে।
প্রতিদিন ভোরে শরীরচর্চা করা বাধ্যতামূলক।
প্রতিদিন এক ঘন্টা করে একটি স্বশিখন ক্লাস রয়েছে।
পাঠদানের পুর্বে প্রতিটি বিষয়ের বেসলাইন মূল্যায়ন করা হয়।
কোর্সটি চারটি টার্মে বিভক্ত- ১ম থেকে -৩য় টার্ম পিটিআইতে ও ৪র্থ টার্ম নিজ বিদ্যালয়ে ।
১ম টার্ম শেষে ৩৩০ নম্বরের একটি লিখিত ইনকোর্স পরীক্ষা নেয়া হয়।
ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন কোর্সের মোট ৭টি বিষয় রয়েছে।
১৫ ঘন্টায় এক ক্রেডিট ঘন্টা ।
ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন কোর্সে টোটাল ১২০০ নম্বরের মূল্যায়ন করা হয়-গাঠনিক ৬৯০ নম্বর এবং সামষ্টিক ৫১০ নম্বর।
শিক্ষক মান মূল্যায়ন ২৩ টি ( শিক্ষক যোগ্যতা ৩৭ টি ধরা হয়েছে)
কোর্স মূল্যায়ন = পাশ নম্বর ৪০%।
শিক্ষকমান মূল্যায়ন= পাশ নম্বর ৮০%।
আরো পড়ুন
ইউএনও অফিসের দারোয়ান-ড্রাইভারও প্রাথমিক শিক্ষকের চেয়ে বেশি বেতন পায়-অধ্যাপক কামরুল হাসান
প্রাক-প্রাথমিক বনাম শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলার,জেনে নেই উভয়ের খুঁটিনাটি
যেভাবে ধাপে ধাপে Power Point দিয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করবেন