সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠালো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিকের দপ্তরীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবী জানিয়ে আন্দোলন করে আসছিল।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউটসোর্সিংখাতে নিয়োগপ্রাপ্ত ‘দফতরি কাম প্রহরীদের’ পদটিকে এর আগেও রাজস্ব খাতে সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত চেকলিস্ট অনুযায়ী ছকে করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল এবং সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পদটিকে রাজস্ব খাতে সৃষ্টির সুযোগ নেই বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার ফলে দফতরি কাম-প্রহরীরা আন্দোলনে নেমে পড়েছিলেন। আন্দোলনের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর নতুন করে মন্ত্রণালয়ে রাজস্ব খাতে নেওয়ার প্রস্তাব পাঠালে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তারা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব জনাব আকরাম আল হোসেন বলেন, ২৭ হাজার ৮৪৫টি দফতরি কাম প্রহরীর পদ সৃষ্টির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন।
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিকের দপ্তরীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবী জানিয়ে আন্দোলন করে আসছিল। তাদের আন্দোলনের কারণে প্রাক্তন মহাপরিচালক জনাব মোঃ ফসিউল্লাহ্ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাদের পদ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দেন।
পদ সৃষ্টির প্রস্তাবে বলা হয়, ল্যাপটপ,সরকারি ভবন,মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও অন্যান্য ইকুইপমেন্ট রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি বিবেচনা করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৬ হাজার ৯৮৮টি বিদ্যালয়ে একটি করে দফতরি কাম প্রহরী পদ সৃষ্টি করা হয়।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাব পাঠানো হলেও আবারো তা প্রত্যাখান করা হতে পারে এমন আশংকা করে ডিপিইর সামনে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঐক্য পরিষদ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ।
আগামীকাল ১৮ অক্টোবর রোজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে ডিপিইর সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী পদে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা আউটসোর্সিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ না করে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বরের স্মারকমূলে অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দফতরি কাম প্রহরী পদে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করেন।
আরো পড়ুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া উচিত-অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক
২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিকে সার্কুলার প্রকাশের সিদ্ধান্ত,আবেদন ফি ১৭০ টাকা
ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি অ্যাকাউন্টে বেতন-ভাতা পাবেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা