প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে এবছর কোনধরণের পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তি হবেন। আগের শ্রেণিতে যার যে রোল ছিল সেই রোল নিয়েই পরের শ্রেণিতে ভর্তি হবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম আজকে(সোমবার) মিডিয়াকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ১৬ মার্চ পর্যন্ত প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয়েছে। তাই সেসময় তাদের যে ক্লাস টেস্ট নেয়া হয়েছে ও শিক্ষকরা যা পড়িয়েছেন, এখন সেসব মূল্যায়ন করা হবে।
চলতি বছরের প্রথম আড়াই মাসের ক্লাস ও করোনাভাইরাস মহামারীর সময় যেসব শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।
মহামারীর ছুটির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংসদ টেলিভিশন, বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যেসব শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়েছে, সেগুলোও মূল্যায়ন করা হবে।
অনেক শিক্ষক ছুটির মধ্যেও শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়া দিয়ে পড়া আদায় করেছেন সেসবও তারা মূল্যায়নে আনবেন।
এর বাইরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, সেসব তথ্য-উপাত্ত শিক্ষকদের কাছে রয়েছে, সেসবও মূল্যায়নে আনা হবে ।
তবে এসব বিষয় মূল্যায়ন করা হলেও তা পরের শ্রেণিতে ওঠার ক্ষেত্রে তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক।
তিনি আরো বলেন, ‘ আনুষ্ঠানিক কোনো পরীক্ষা না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই মূল্যায়ন করা হবে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আগের ক্লাসের রোল নম্বরই অনুসরণ করবেন, সকল শিক্ষার্থী পরের ক্লাসে প্রমোশন পাবেন।
দেশে করোনাভাইরা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।
উল্লেখ্য যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এবার ৫ম ও ৮ম শ্রেণির সমাপনী ও এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিল করেছে সরকার এবং স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত নিচ্ছে না সরকার।
মাধ্যমিকে পরীক্ষা নেয়া না হলেও শিক্ষার্থীদের কোথায় দুর্বলতা তা বোঝার জন্য ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
করোনার ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কঠিন হবে-জাতীয় পরামর্শক কমিটি
২য় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রীধারী শিক্ষকরা ১৩তম নয় বরং ১০ম গ্রেডের যোগ্য
টাকা দিয়ে শিক্ষকদের মর্যাদা নির্ণয় করা যায়না কথাটি শিক্ষকদের ঠকানোর একটি কৌশল
আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক নিয়োগ আবেদনে ভুল সংশোধনের সুযোগ