সুবর্ণ আইজ্যাক বারী,বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিস্ময়কর এক বালক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
পদার্থবিজ্ঞান,গণিত,সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইন ও নিজের লেখা ‘দ্য লাভ’ গ্রন্থের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে তিনি পরিচিত পেয়েছেন ।তার এই কীর্তি তাকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ।
সুবর্ণকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী এই অধ্যাপককে বিশেষ সম্মাননা জানিয়েছেন । সকল নিউইয়র্কবাসীদের পক্ষ থেকে বিস্ময়কর এই বালককে সম্মাননা জানিয়ে কুমো বলেন, ‘সুবর্ণ আইজ্যাক খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করেছেন। সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইন গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের ও তার নিজের লেখা বইয়ের মাধ্যমে আপনি বিশ্বজুড়ে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন।
গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে আপনার(সুবর্ণ আইজ্যাকের) অর্জন প্রশংসার যোগ্য। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বিশ্বের বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে আপনার(সুবর্ণ আইজ্যাকের) বিস্ময়কর সচেতনতা এবং বিশ্ব শান্তি প্রচারের জন্য সেই সচেতনতা ব্যবহার করার ইচ্ছা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
সম্মাননার স্বীকৃতিপত্রে নিউইয়র্ক গভর্নর লিখেছেন, সব নিউইয়র্কবাসীর পক্ষ থেকে আমি আপনার প্রশংসা করছি। দ্য লাভ’ গ্রন্থের মাধ্যমে আপনি সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি এবং সহনশীলতা জাগানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি এনে দিয়েছেন। আপনার প্রতি অভিনন্দন এবং সুখের জন্য শুভকামনা।
সাড়ে আট বছর বয়সী বিজ্ঞানী সুবর্ণ আইজ্যাক বারীকে গত ১৭ অক্টোবরে গভর্নরের পক্ষ থেকে স্বীকৃতিপত্রটি দেন কুমো এবং ২০১৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ।
এছাড়া নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী সুবর্ণকে বিজ্ঞানী হিসেবে দিল্লিতে গ্লোবাল চাইল্ড প্রডিজি অ্যাওয়ার্ড দেন । তাছাড়া মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় সুবর্ণকে পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে ভিজিটিং অধ্যাপক পদে নিয়োগ দিয়েছেন ।
সুবর্ণের জন্ম ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল নিউইয়র্ক শহরে । পিএইচডি স্তরের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের সমস্যাগুলো সমাধান করতে সক্ষম হওয়ায় খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ।
সুবর্ণের অভিভাবকরা জানান, নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো তার প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে সম্মাননা স্বীকৃতিপত্রটি তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। তারা সুবর্ণকে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।