শিক্ষানীতি সংশোধন করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি। গতকাল রোজ শুক্রবার ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ৫ম জাতীয় যুব পরিবার পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর আগে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং এই দীর্ঘ সময়ে অনেক কিছুর পরিবর্তিত হয়েছে। তাই এখন শিক্ষানীতিকে প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিমার্জন, সংযোজন ও যুগোপযোগী করা দরকার বলে সরকার শিক্ষানীতি সংশোধনের এই উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন,দেশের বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যাকে ইতিমধ্যে শিক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এখন শুধু প্রয়োজন শিক্ষার গুণগত মান অর্জন। সকল পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর তাই সমন্বিত একটি শিক্ষা আইন প্রণয়ন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এ সময় তিনি বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকারের পাশাপাশি জনগণ ও তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার আহবান জানান ।
বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জনাব মোঃ আলী নূর তার বক্তব্যে বলেন, কিশোরী মায়ের স্বাস্থ্য সেবা ও পুষ্টিগত চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি তাদের মৃত্যুহার কমিয়ে আনার ওপর নজর দেয়া হচ্ছে। ইতিপূর্বে শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পক্ষ থেকে দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কৈশোরবান্ধব সেবা কেন্দ্রের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অন্যান্যদের মধ্যে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব সাহান আরা বানু, জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মারভিন ক্রিস্টিয়ান,UNFP এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডাঃ অসা টোরকেলসন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ফাহমিদা হক প্রমুখ ।
করোনার কারণে সিরাক-বাংলাদেশের এবারের দুইদিনব্যাপী আয়োজনে কিছুটা ভিন্নতা আনা হয়েছে। সম্মেলনের সকল বক্তারা করোনা সংক্রমণ রোধে অনুষ্ঠানস্থলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন। ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমেও সারা দেশ থেকে ৫শত তরুণ-তরুণী অনলাইনের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা।
এই আয়োজনের সিরাক বাংলাদেশের সহযোগী হিসেবে ছিলেন ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ, রাইট হেয়ার রাইট নাও বাংলাদেশ,বাংলাদেশ ইয়ুথ হেলথ একশন নেটওয়ার্ক (বিহান), মেরী স্টোপস বাংলাদেশ, কোয়ালিশন অব ইয়ুথ অর্গানাইজেশনস ইন বাংলাদেশ (সিঅয়াইওবি),পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল, অপশন্স কনসালটেন্সি সার্ভিসেস লিমিটেড, ইউকেএইড, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, পপুলেশন সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ইউবিআর এলাইয়েন্স।
আরো পড়ুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া উচিত-অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক
মানসম্মত বেতন-মর্যাদা না পেলে মেধাবীরা প্রাথমিক শিক্ষকতা পেশায় আসবেন কেন?
অনলাইনে আপনি যেভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করবেন