গত ৩০ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শেষ হয়েছে । ফেব্রুয়ারি মাসের ১ম সপ্তাহে প্রকাশ হতে পারে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল এবং সেই লক্ষ্যে গতকাল দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা বৈঠকে বসেছিলেন বলে জানা গেছে।
করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস না হওয়ায় বিভাগভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ওই দিন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন,পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১ মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন,ফলাফল তৈরির কাজ শুরু করা হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ।
নতুন পদ্ধতিতে এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হওয়ায় ফলাফল প্রকাশের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এজন্য দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা বৈঠক করে এসব বিষয়ে প্রস্তাবনা তৈরি করবেন।
ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতির বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানান, ৩০ দিনের মধ্যে যাতে ফল প্রকাশ করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
আশা করা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে। তবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা হলেও তাদের পত্র কিন্তু ৬টি। তাই কিছুটা সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।
২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। এবার দেশের সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডে শুধু এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন শিক্ষার্থী।
আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষা দিয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি বিএম ও ভোকেশনাল পরীক্ষা দিয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৫২৯ জন।