এসএসসি-এইচএসসির পরীক্ষার নম্বর যেভাবে ভাগ হবে

গত ১৫ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে জানান, এসএসসি ও এইচএসসির প্রতি বিষয়ে পরীক্ষার মোট নম্বরও কমে যাবে। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র থেকে উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন বাছাইয়ে বেশি সুযোগ পাবে।

প্রশ্নের ধরন ও পরীক্ষার সময় নিয়ে দীপু মনি বলেন, অর্ধেক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে, অর্থাৎ তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। আর প্রশ্নপত্র এখন যেভাবে বহুনির্বাচনী ও রচনামূলক হয়, সেভাবেই হবে। তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন বাছাই করার বেশি সুযোগ পাবে। যেমন: আগে যেখানে ১০টি প্রশ্ন থেকে ৮টির উত্তর দিতে হতো, সেখানে এখন হয়তো সেই ১০টি প্রশ্নই থাকবে। তবে তার মধ্যে ৩ বা ৪টির উত্তর দিতে বলা হতে পারে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বেছে নেওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে।

কত নম্বরে পরীক্ষা

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এসএসসি ও এইচএসসির বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ৩২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে রচনামূলক ২০ নম্বর ও এমসিকিউতে (নৈর্ব্যক্তিকে) থাকবে ১২ নম্বর। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের বিষয়গুলোয় শিক্ষার্থীরা ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা দেবে। এর মধ্যে ৩০ নম্বর রচনামূলক ও ১৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রচনামূলক ও নৈর্ব্যক্তিকের নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে।

এসএসসির বিজ্ঞানে নম্বর বিভাজন

ঢাকা বোর্ড প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজনে বলা হয়েছে, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষার রচনামূলক অংশে শিক্ষার্থীদের ৩২ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে রচনামূলক ২০ আর নৈর্ব্যক্তিক অংশে ১২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে পরীক্ষার্থীদের।

বিজ্ঞান বিভাগের রচনামূলক অংশে ৮টি প্রশ্ন থাকলেও যেকোনো ২টির উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। ১০ করে ২০ নম্বর। নৈর্ব্যক্তিক অংশে ২৫টি প্রশ্নের মধ্যে ১২টির উত্তর দিতে হবে। এখানে নম্বর ১২। মোট ৩২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষা বোর্ড বলছে, বিজ্ঞানে শিক্ষার্থীদের ২০ নম্বরকে ৫০ ও নৈর্ব্যক্তিকের ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে মোট প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে।

এসএসসির মানবিক ও ব্যবসায় নম্বর বিভাজন

এসএসসির মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৪৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। রচনামূলকে ৩০ নম্বর ও নৈর্ব্যক্তিকে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে রচনামূলক অংশে ১১টি প্রশ্ন থাকলেও উত্তর দিতে হবে যেকোনো ৩টির। প্রতিটির মান ১০। নৈর্ব্যক্তিকে ৩০টি প্রশ্ন থাকলেও উত্তর দিতে হবে ১৫টির। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর করে মোট ১৫।

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩০ নম্বরকে ৭০ ও নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের মোট নম্বর নির্ধারণ করবে বোর্ড।
প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে হবে। রচনামূলক ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ও নৈর্ব্যক্তিকে সময় ১৫ মিনিট।

এইচএসসির বিজ্ঞানের নম্বর বিভাজন

এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা হবে ৩২ নম্বরে। রচনামূলকে ২০ ও নৈর্ব্যক্তিকে ১২ নম্বর। রচনামূলক অংশে প্রতিটি পত্রে ৮টি প্রশ্নের মধ্যে উত্তর দিতে হবে ২টির। এ ক্ষেত্রে প্রতিটির মান ১০ নম্বর। নৈর্ব্যক্তিক অংশে ২৫টি প্রশ্ন থাকবে। উত্তর দিতে হবে ১২টির। প্রতিটির মান ১ নম্বর। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ২০ নম্বরকে ৫০ ও নৈর্ব্যক্তিকের ১২ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের মোট প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে। বাকি ২৫ নম্বর ব্যবহারিক হবে।

এইচএসসির মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ে পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরে। এর মধ্যে রচনামূলকে থাকবে ৩০ আর নৈর্ব্যক্তিকে ১৫ নম্বর। রচনামূলক অংশে ১১টি প্রশ্নের মধ্যে উত্তর দিতে হবে ৩টির। প্রতিটির নম্বর ১০। আর নৈর্ব্যক্তিকে ৩০টি প্রশ্নের মধ্যে উত্তর দিতে হবে ১৫টির। প্রতিটির মান ১ নম্বর।

পরীক্ষার্থীদের ৩০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে ও নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে মোট প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে।

সূত্র-দৈনিক প্রথম আলো

Check Also

এসএসসি পরীক্ষার্থী

২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ভূয়া রুটিন, সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এসএসসি-২০২৪ …

সরকারি হওয়া ২৭ জন শিক্ষকের কলেজে পরীক্ষার্থী ৭৫ জন কিন্তু ফেল ৭৩ জন

সরকারি হওয়া ২৭ জন শিক্ষকের কলেজে পরীক্ষার্থী ৭৫ জন কিন্তু ফেল ৭৩ জন

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ৭৫ জন …

আপনার মতামত জানান