দেশের চারটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
নীতিগতভাবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে একমত হলেও ভর্তি পরীক্ষা কমিটি গঠন ও কেন্দ্র নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিমত দেখা দিয়েছে।
আজকে বুধবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
চার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গুচ্ছভিত্তিক একটি অভিন্ন পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির আলোচনা চলছে। এ মাসের শুরুতে দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের দুর্ভোগ ও আর্থিক ব্যয় কমাতে এবার থেকে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে দেশের সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর থেকে গুচ্ছ ভিত্তিতে অভিন্ন প্রশ্নে এক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করে।
চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তাঁদের মনোনীত প্রতিনিধিরা আজকের সভায় জানিয়েছেন সবাই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে নীতিগতভাবে একমত।
এ বিষয়ে তাঁদের একাডেমিক কাউন্সিলেরও সম্মতি রয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার কমিটি গঠন ও কেন্দ্র নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।
ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের দেয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে অন্য তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই তাদের সুস্পষ্ট মতামত ইউজিসির কাছে পাঠাবেন। তার ওপর ভিত্তি করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল সভায় অংশ নেন বুয়েটের সহ–উপাচার্য আবদুল জব্বার খান, চুয়েটের উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম, রুয়েটের উপাচার্য মো. রফিকুল ইসলাম শেখ, কুয়েটের উপাচার্য কাজী সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
আরো পড়ুন
১৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা
নগদের উপবৃত্তি পোর্টালে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রিতে যেসব নির্দেশনা অনুসরণ করবেন
প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্লাস্টারভিত্তিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ অধিদফতরের
প্রাথমিকে ৫ হাজার ৫০৬ সহকারী শিক্ষকের পদ সংরক্ষণের নির্দেশ
৩ জানুয়ারি মধ্যে দপ্তর,প্রতিষ্ঠান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্পত্তির তথ্য পাঠানোর নির্দেশ