ছাত্রীর শরীরে আপত্তিকর স্পর্শের অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে,কক্ষে তালা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্লাস বর্জন করে অভিযুক্ত শিক্ষকের অফিসে তালা দিয়েছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার ঘটনার বিচার চেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।মো. নুরুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক।

এর আগে গত মঙ্গলবার এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে উপাচার্য অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্ত করবেন বলে জানান।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখ হলের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমাকে ডাকেন। তাই আমি স্যারের রুমে যাই। স্যার আমাকে প্রয়োজনীয় দুই-একটা কথা বলার পর অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে শুরু করেন। আমার বাবা মৃত জানার পর তিনি আমাকে সাহায্যের প্রলোভন দেখান এবং আমাকে একা ওনার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। তখন তিনি আমার ফোন নম্বর নেন এবং জোর করে মেসেঞ্জারে যুক্ত হন।’

ছাত্রী আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে ওনার কথার ধরন এবং অঙ্গভঙ্গি অস্বাভাবিক মনে হলে আমি নিজ চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াই। তখন তিনি নিজ চেয়ার থেকে উঠে আমাকে যৌন নিপীড়ন শুরু করেন। তিনি বারবার বলতে থাকেন, “তোমাকে আমার ভালো লেগেছে” এবং তিনি আমার শরীরের আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করেন। তখন আমি মানসিক ট্রমায় পড়ে বাড়ি চলে যাই এবং চলমান পাঠদান থেকে বিরত থাকি।’

এ ঘটনার বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা চাই এই ঘটনার একটি সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে এই শিক্ষককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।’

মানববন্ধনে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখানে আন্দোলন করছি, তিনি ২০১৪ সাল থেকে আমাদের ইনস্টিটিউটের নারী শিক্ষার্থীদের হ্যারাজ করে আসছে। দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে তিনি এ ধরনের কাজ করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করবে।’

মানববন্ধন শেষে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিচার এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন।

বিষয়টি জানতে অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।প্রসঙ্গত, অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরে জানুয়ারিতে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন তার বিরুদ্ধে। এর আগে ২০১৪ সালের মে মাসেও এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সূত্রঃ দৈনিক আমাদের সময়

Check Also

এসএসসি পরীক্ষার্থী

২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ভূয়া রুটিন, সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এসএসসি-২০২৪ …

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন

চাকরি দেওয়ার কথা বলে নেয়া ঘুষের টাকা গণশিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ফেরত

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি জাকির হোসেনের নির্দেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে …

আপনার মতামত জানান