২০১৫ সালে শিক্ষায় প্রায় ৮৭ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ ইসরাইলের বরাদ্দ ছিল ৪.৫ বিলিয়ন শেকেল (১ শেকেল =২৫ টাকা) যা বাংলাদেশী টাকায় ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকা।
সেই বাজেট ২০১৯ এসে হয় ৫৭.১ বিলিয়ন যা তাদের ডিফেন্স বাজেটকে প্রথমবারের মত ছাড়িয়ে যায়।১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে শিক্ষায় বরাদ্দ হলো ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা।
শিক্ষার সাথে যদি প্রযুক্তি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করি তাহলে মোট বরাদ্দ দাঁড়ায় ৮৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা।এমনি এমনি কি এই পর্যন্ত মোট ৯০০ জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে ২০৮ জনই Jewish! অকল্পনীয়। শিক্ষাকে তারা এমনই গুরুত্ব দেয়।
তাদেরকে আরব বিশ্বের বৈরী পরিবেশে থাকার কারনে সামরিক খাতে বিশাল অর্থ ব্যয় করতে হয়। এখন তারা আরব বিশ্বের সাথে সম্পর্ক ভালো করতে চেষ্টা করছে কারণ তারা শিক্ষায় আরো বেশি বরাদ্দ দিতে চায়। আর তারই প্রতিফলন হলো ২০১৮ সালে সামরিক খাতের চেয়ে বেশি অর্থ শিক্ষায় বরাদ্দ।
ছোট্ট একটি দেশ। আমাদের একটি জেলার জনসংখ্যার চেয়েও কম মানুষ। অথচ শিক্ষায় বরাদ্দ দেয় ৬৪ টি জেলার পুরো ১৮ কোটি বাংলাদেশের মোট বরাদ্দের চেয়ে বেশি। সভ্য হতে হলে শিক্ষাকে এমনই গুরুত্ব দিতে হবে।
আমাদের সরকারগুলো দেয় না তার মানে হলো তারা চায় দেশের মানুষ শিক্ষা দীক্ষায় উন্নত হয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। কিন্তু মুখ যেহেতু আছে বলার সময় ঠিকই গলাবাজি করে।
No wonder কেন ওরা নোবেল প্রাইজ বিজয়ী তৈরী করে আর আমরা চোর বাটপার আর প্রতারক তৈরী করি। No wonder কেন আমেরিকা ওদের উপর এত নির্ভরশীল আর আমরা কেন বিদেশের উপর এত নির্ভরশীল।
লেখক-কামরুল হাসান মামুন,অধ্যাপক,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। [ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেয়া]
আরো পড়ুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া উচিত-অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক
২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিকে সার্কুলার প্রকাশের সিদ্ধান্ত,আবেদন ফি ১৭০ টাকা
ইএফটির মাধ্যমে সরাসরি অ্যাকাউন্টে বেতন-ভাতা পাবেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা