প্রতিটি জেলায় কেন্দ্র স্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হোক

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট সিট সংখ্যা ৪৬ হাজার। প্রত্যেক মেধাবী শিক্ষার্থী চায় একটি সিট নিতে, সেজন্য অসম প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে প্রায় সকল শিক্ষার্থী।

করোনাকালে এই ভর্তি পরীক্ষা নেয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।আজকে ২৮ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি কলাম থেকে এ তথ্য জানা যায়।কলামটি লিখেছেন মোঃ তোফায়েল আহমেদ।

সেজন্য গত ১৭ অক্টোবর উপাচার্যদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের’ ভার্চুয়াল এক সভায় ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে থাকেন।

কিন্তু দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া প্রায় প্রতিটি মেধাবী শিক্ষার্থী গ্রামের দরিদ্র অঞ্চলের, তাদের নেই উন্নত ডিভাইস এবং সেখানে পৌঁছায়নি ভালো ইন্টারনেট সেবা। সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র বিভাগভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বর্তমানে দেশে ৪৬টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও ৩৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ করে একটি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হোক।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেইই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে ৪টি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় -ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ করে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।

এদের মধ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে একটি, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি গুচ্ছ করে নেওয়া হবে এই ভর্তি পরীক্ষা।

আর প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এবারের পরীক্ষা কেন্দ্র জেলাভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হোক।

প্রতিটা কেন্দ্র ও জেলাভিত্তিক আলাদা আলাদা প্রশ্ন সেট তৈরি করে কঠোর নিরাপত্তার সাথে নেয়া হোক ।সেইসাথে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে স্বাস্থ্যসচেতনতায় কঠোর হতে হবে আর পরীক্ষাকেন্দ্রে মাস্ক বাধ্যতামূলক এবং হ্যান্ডস্যানিটাইজের ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন
ভালো জাতি তৈরি করতে সবার আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে নজর দিতে হবে-অধ্যাপক নজরুল ইসলাম
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সকল ধরণের কোটা বাতিল চেয়ে সরকারকে উকিল নোটিশ
২০২১ সাল থেকেই প্রাইমারী,হাইস্কুল ও কলেজের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন চুড়ান্ত হচ্ছে

Check Also

প্রাথমিক শিক্ষক

সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দিয়ে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হোক

দেশের নীতিনির্ধারকগণ বলেন প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছেন শিক্ষার ভিত্তি, ভিত্তি মজবুত না হলে শিক্ষার উন্নয়ন কখনোই …

প্রাথমিক শিক্ষক

১০ম গ্রেড দিয়ে সহকারী শিক্ষকদের আর্থ-সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করা হোক

প্রাথমিক শিক্ষকরা অবুঝ শিশুদের শিক্ষা দেয়ার মত সবচেয়ে কঠিন ও গুরুদায়িত্ব পালন পালন করেন।পরিশ্রমের দিক …

আপনার মতামত জানান