বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে -এ কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক।
Exactly এই কথাটিই আমি বলতে বলতে হয়রান হয়ে গেছি। গাঁথুনিটা শক্ত ও মজবুত করতে হবে। জাপান, জার্মানি, কোরিয়াসহ বিশ্বের সভ্য দেশগুলোতে তাকান দেখবেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষকদের মান মর্যাদা ও বেতন কত সম্মানজনক।
মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে চাইলে শুধু বেতন কিংবা শুধু সম্মান দিলেই হবে না। দুটোই সমান তালে লাগবে। ঢাকা শহরে প্রচুর প্রাইমারী স্কুল আছে। এগুলোর নিজস্ব জায়গা আছে। কিন্তু আমরা কি এই জায়গার সুষ্ঠূ ব্যবহার করতে পারছি?
কেন স্কুলগুলোর অবকাঠামো উন্নত করা হয় না? কেন ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় না? কেন সমাজের সকল স্তরের মানুষদের তাদের নিজ এলাকার প্রাইমারী স্কুলে পড়তে উৎসাহিত করা হয় না?
কেন কেবল আয়া বুয়াদের ছেলেমেয়েরাই প্রাইমারি স্কুলে পড়বে। এই ছোট বয়সে উচ্চ বিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের বাচ্চাদের একই স্কুলে পড়ার ব্যবস্থা করতে পারলে সমাজে বৈষম্য অনেক কমে যেত।
ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত প্রাইমারি স্কুলে পড়া বাধ্যতামূলক করা উচিত যেখানে মূলত সিভিক সেন্স, আচার আচরণ, খেলাধুলা, মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে শিক্ষিত করা হবে।এখন যারা নিয়োগ পাচ্ছে তারা কারা? তাদের অনেকেই(সবাই নয়) জীবনে ব্যার্থ। তারা কোথাও কোন চাকুরী না পেয়ে একদম শেষ চেষ্টা হিসাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়।অনেকের সেটাও হয় ঘুষ দিয়ে।
তারা কিভাবে আমাদের ছেলেমেয়েদের নৈতিকতা শেখাবে। সমাজে প্রতারক আর দুশ্চরিত্রের মানুষে সয়লাব হওয়ার এইটা একটা কারণ।
সমাজে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা প্রায় নেই বললেই চলে। রাষ্ট্র এদের সাথে যাচ্ছে তাই ব্যবহার করে। নির্বাচন থেকে শুরু করে আদমশুমারিসহ নানা কাজে এদেরকে ব্যবহার করে কিন্তু সম্মান দেয় না।
আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ এই জায়গায় আমাদের চরম অবহেলা।
শিক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা-অধ্যাপক ড.জাফর ইকবাল
উন্নত বিশ্বে প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের চেয়ে বেশি