প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে শিক্ষকদের কোচিং-প্রাইভেট বন্ধের দাবি শিক্ষাবিদদের

জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে শিক্ষকদের কোচিং-প্রাইভেট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।গতকাল রোজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন, ২০২২ বিষয়ে নাগরিক সমাজের ‘অবস্থানপত্র’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবী জানান।বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযান ও এডুকেশন ওয়াচ যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, আমাদের পরিস্কার অবস্থান হচ্ছে, এটি (নোট-গাইড-কোচিং-প্রাইভেট) ক্ষতি করছে। বলেছি, মোটেও কোচিং চলবে না। আমরা চাই, শিক্ষা মানে বুঝতে হবে, চিন্তা-ভাবনা করতে হবে, প্রশ্ন করতে হবে। কোচিং যদি থাকে, সেটি করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, যদি নোটবুক থাকে, তাহলে এটি করার সুযোগ নেই।তবে একটি সহায়ক বই থাকতে পারে, অতীতেও ছিল।

কিন্তু সেটির ওপর নির্ভর করে যদি পরীক্ষা হয় এবং আরেক শিক্ষক যদি কোচিংয়ের মাধ্যমে সেটি গিলিয়ে দেন, তাহলে তো শিক্ষা হবে না।বর্তমানে দেশের শিক্ষা কার্যক্রম নোট-গাইড পড়ে মুখস্থ করে পরীক্ষা দেওয়া এবং জিপিএ-৫ ভিত্তিক বলে মন্তব্য করেন খলীকুজ্জমান।তিনি বলেন,এখানে শিক্ষা কীভাবে হয়? একটি হচ্ছে, নোট-গাইড পড়ে মুখস্থ করে পরীক্ষা দেয়, জিপিএ ৫ ভিত্তিক শিক্ষা।

তিনি আরও লেন, পরীক্ষা দিতে দিতে শেখার সময় নেই। শিক্ষার্থীর মা-বাবা, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়, কতটা জিপিএ ৫ পেল? কাজেই জিপিএ ৫ পাওয়ার জন্য মুখস্থ করানো হয়। এর বাইরে কিছু জানে না। কিন্তু আসল শিক্ষা হচ্ছে, যা পড়ে বোঝা যাবে, বোঝার পর বিবেচনায় ও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে এবং প্রশ্ন উত্থাপন করতে হবে।

আরো পড়ুন
ইউনিভার্সিটির একটি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ১৫১ পেয়েছেন এক শিক্ষার্থী
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার সংশোধিত রুটিন প্রকাশ
আইনের তোয়াক্কা করে না কিন্ডারগার্টেনগুলো,বইয়ের বোঝা চাপিয়ে অর্থ আদায়
এক পায়ে লিখে জিপিএ-৫ পাওয়া তামান্না গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে  বলেন, শিক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গেছে কিনা, তা সরকার তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। এ জন্য তাঁদের প্রধান দাবি- যদি এটি চূড়ান্ত হয়েও থাকে, তাহলেও যেন এটি জনসমক্ষে প্রকাশ এবং মতামতের সুযোগ করে দেওয়া হয়।

রাশেদা কে চৌধুরী আরো বলেন,কোনভাবেই কোচিং-বাণিজ্য বৈধতা দেওয়া যাবে না।তবে যেসব কোচিং সেন্টারে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিউশনি করিয়ে অর্থ আয়ের সুযোগ পান, সেগুলো চলতে পারে বলে তিনি মনে করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি সদস্য কাজী ফারুক আহমেদ।

Check Also

এসএসসি পরীক্ষার্থী

২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ভূয়া রুটিন, সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এসএসসি-২০২৪ …

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন

চাকরি দেওয়ার কথা বলে নেয়া ঘুষের টাকা গণশিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ফেরত

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি জাকির হোসেনের নির্দেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে …

আপনার মতামত জানান