গতকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন ৯ লক্ষ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২কোটি ৭৭ লক্ষের অধিক মানুষ।বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছেন।
রয়টার্সের হিসাব বলছে, করোনা মহামারীতে বিশ্বের সবচেয়ে আক্রান্ত দেশ হচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন পর্যন্ত দেশটিতে এক লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছে করোনায় এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ লক্ষ।
এর পরের স্থান হচ্ছে ব্রাজিলের। ব্রাজিলে এক লক্ষ ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে মারা গেছেন। আর ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৭৪ হাজার মানুষের।
গত সোমবারেও ভারতে ৯০ হাজার ৮০২ জনের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে,যেটি কোনো দেশে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে করোনায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ লক্ষ। সংক্রমণের দিক থেকে ব্রাজিলের চেয়েও এগিয়ে ভারত। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে ৪১ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত।
করোনার কেন্দ্রস্থল পরিবর্তন হয়ে এখন ভারতে এসেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনবহুল দেশটিতে কখন আক্রান্ত সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাবে, তার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন
অভিনব পন্থায় ইরানে ক্লাস নেয়া হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের
যেভাবে ধাপে ধাপে Power Point দিয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করবেন
যেভাবে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের WH QUESTION শেখাবেন
লকডাউনের মধ্যেই বুধবার বারগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। কাজেই করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর দিন যত যাচ্ছে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যাও তত বাড়ছে। গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে দেশটিতে।
মহামারীতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে যত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, তার অর্ধেকের বেশি আমেরিকার দেশগুলোতে।
মেক্সিকো, পেরু, কলম্বিয়া, চিলি ও ইকুয়েডরে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে ঊর্ধ্বগতিতে।গত দুই সপ্তাহে মৃত্যুর হিসাবে পর্যালোচনা করে রয়টার্স বলছে, করোনায় প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার ৬০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
সংক্রমণ আট লাখ থেকে ৯ লাখে পৌঁছাতে আঠারো দিন লেগেছে। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার স্থিতিশীল ছিল অনেকটা।তবে আক্রান্তের সংখ্যা সাত লক্ষ থেকে আট লক্ষে উঠতে সময় লেগেছিল ১৭ দিন। সংক্রমণের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার ১ শতাংশ, যেখানে ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রে ৩ শতাংশ।