ডিপ্লোমাধারী অন্য সকল পেশাজীবীদের ২য় শ্রেণির মর্যাদা দেয়া হলেও প্রাথমিক শিক্ষকদের ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন কোর্স করে উল্টো মূল বেতন আরো কমে যায়। উদাহরণস্বরূপ
দুইজন সহকারী শিক্ষক ২০১৬সালের ১৮ জানুয়ারীতে একইসাথে যোগদান করেন। একজন ২০১৭সালে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারী এডুকেশন কোর্স সম্পন্ন করে সনদ যোগ করায় এখন মূল বেতন পাচ্ছেন ১১২৫০টাকা,অন্যদিকে যিনি এখনো ডিপিএড প্রশিক্ষণ নেননি বা সনদ যোগ করেননি তিনি পাচ্ছেন ১১,৮১০টাকা।একই সাথে যোগদান করেও শুধু মূল বেতনের পার্থক্য দাড়িয়েছে ৫৬০ টাকা।
বাড়িভাড়া ও পেনশন সব মিলিয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের ক্ষতি হবে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা।বেতন কমে যাওয়ার এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকরা সামাজিক গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সরব হয়ে উঠেন।
বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিব মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।এ বিষয়ে মাননীয় সিনিয়র সচিব জনাব মোঃআকরাম আল হোসেন বলেন শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের বিষয়টি সম্পন্ন করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার,তিনি না পারলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিষয়টি অবগত করবেন এবং মহাপরিচালক না পারলে তিনি মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবগত করবেন।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নেয়ার পরে বেতন বাড়ার কথা,কিন্তু কি কারণে বেতন কমে যায় এ বিষয়টি আমরা দেখবো।আমি, একজন অতিরিক্ত সচিবকে(বিদ্যালয়) এ বিষয়ে দায়িত্ব দিয়েছি,আশা করি অন্যান্য সমস্যার ন্যায় ডিপিএডধারী শিক্ষকদের এই সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন
ইউএনও অফিসের দারোয়ান-ড্রাইভারও প্রাথমিক শিক্ষকের চেয়ে বেশি বেতন পায়-অধ্যাপক কামরুল হাসান
জেনে নিন ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন কোর্সের খুঁটিনাটি
মায়েরা তুলেনি উপবৃত্তির এমন ১০০ কোটি টাকা মন্ত্রণালয় ফেরত নিতে চাচ্ছেন
সমন্বিত নিয়োগবিধি সহকারী শিক্ষকদের উপরে উঠার সিড়ি নাকি কফিনের শেষ পেরেক?