সরকারি ১ম ও ২য় শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে কোটা রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা এবং হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম।
আজকে ১৫ জানুয়ারি রোজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’র কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সরকারি সব চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে একটি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষার সমাবেশে বলেন,আগামী ৭দিনের মধ্যে সরকারি সব শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না করা হলে কঠোর আন্দোলন ও উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কর্তৃক উত্থাপিত ৬ দফা দাবিগুলো-
১. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
২. ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সরকারি সব চাকরিতে পুনর্বহাল, সংরক্ষণ, বিশেষ কমিশন গঠন করে প্রিলিমিনারি থেকে শতভাগ বাস্তবায়ন এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদগুলো বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করে মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো সব পদে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করণে বিশেষায়িত মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতাল নির্মাণ এবং তাদের কল্যাণে মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে হবে ও দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।
৪. রাজাকারসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, তাদের বংশধরদের সরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ও নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা এবং চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুত করতে হবে।
৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সব প্রকার অপপ্রচার বন্ধ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলাসহ সব প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. সরকারি সব চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ফজলে রাব্বী রানা,রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন সোহাগ,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আরো পড়ুন
সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দিয়ে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হোক
আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির নির্দেশ
এপ্রিল মাসের আগে স্কুল কলেজ খোলার কোন পরিকল্পনা আপাতত নেই
১১ মাস পার,এখনও ১৩তম গ্রেডের সুবিধা পাননি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিকা নিশ্চিত করার পরে খোলা হোক-অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান